প্রশ্ন : আমার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় বোরকা পরতে চায় না। স্কুলেও শুধু ড্রেস পরে যেতে চায়। বেশি জোর করতে পারি না। যদি অভিমান করে বড় কিছু করে বসে। এখন কি করব?
১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম

উত্তর : ১৬ বছরে মেয়েরা এমন অবস্থায় পৌঁছে, যাদের ভালো করে শরীর ঢেকে রাখতে হয়। শালীন ও ঢিলেঢালা ফুল পোশাক পরার পর যদি বড় ওড়না বা চাদর দিয়ে বুক ও মাথা ঢেকে রাখে তা হলেও চলনসই পর্দা হয়ে যায়। বোরকা পরার জন্য চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে মন তৈরি করতে থাকুন। কোনো তালিম বা দ্বীনি পরিবেশে মহিলাদের সাথে চলাফেরা করতে শেখান। আপনি প্রজ্ঞার সাথে নরমে-গরমে আপনার কথা বোঝাতে থাকুন। দোয়া এবং চেষ্টা জারি রাখুন। হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। যদিও এসব কাজ শিশু বয়সেই মাথায় দিতে হয়। আপনি সম্ভবত বেশ দেরি করে ফেলেছেন। চেষ্টা করতে থাকুন। এরপরও যদি না হয় তাহলে মা হিসেবে আপনি দায়ী হবেন না। ১৬ বছরে মেয়ে নিজেই নিজের গোনাহের ভাগী হয়ে যায়।
প্রশ্ন : আমার অফিসে দাঁড়িয়ে প্র¯্রাব করতে হয়। প্র¯্রাবের পর টিস্যু ব্যবহার করলেও দু’য়েক ফোটা প্র¯্রাব বের হয়ে যায়, এজন্য নামাজ পড়তে ভয় লাগে। আমি কি করব?
উত্তর : আপনি চেষ্টা করবেন দাঁড়িয়ে পেশাব না করে কোনো ব্যবস্থায় বসে পেশাব করতে। অপারগ হলে দাঁড়িয়েই করবেন। তবে, টিস্যু ব্যবহার এমনভাবে করবেন, যাতে দু’য়েক ফোটা পেশাব বের হয়ে না যায়। এটি আরেকটু সময় নিয়ে টিস্যু ব্যবহার পূর্ণভাবে করলে আর বের হবে না। যদি এর সমাধান না করেন, তাহলে তো নামাজের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটতেই পারে। তাতে আপনার অজু ও কাপড় দু’টোই নষ্ট হওয়ার আশংকা থেকেই যায়। সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। মনের সন্দেহ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবে যদি দু’য়েক ফোটা পরে বের হয়, তাহলে নামাজ ভাঙ্গার ভয় পাওয়ারই কথা।
প্রশ্ন : কেরোসিন তেল কি পবিত্র, না অপবিত্র? কাপড় বা গায়ে একটু লাগলে, তা সহ নামাজ পড়া যাবে কি না।
উত্তর : কেরোসিন তেল স্পষ্টত নাপাক নয়। কোনো অনুসঙ্গ মিশ্রিত হলে নাপাক হতে পারে। শুধু কেরোসিন তেল তার কটু গন্ধের জন্য মসজিদে পরিত্যাজ্য। তবে, অপারগ অবস্থায় সতর্কতার সাথে মসজিদেও ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন : ইমামের পেছনে নামাজ পড়ার সময় দুই সেজদার মাঝের দোয়াটি পড়া যাবে কি?
উত্তর : মাসনূন দোয়া শুদ্ধভাবে পড়তে জানলে পড়া যাবে। তবে, ইমামের পেছনে জামাতের নামাজে পড়ার চেয়ে মাসনূন দোয়াসমূহ ব্যক্তিগত নফল নামাজে পড়া অধিক উপযোগী।
প্রশ্ন : আমি অনলাইনে বাজি নামে একটা সফ্টওয়ারে ক্রিকেট খেলার বাজি ধরি। আমার উদ্যেশ্য হচ্ছে সেখান থেকে লভ্যাংশগুলো আমি গরীব অসহায় মানুষের জন্য ব্যয় করব। আর আমার মূল টাকাটা আমি নিয়ে ফেলব। এই কাজটা করা আমার জন্য উচিৎ হচ্ছে কিনা? নাকি গুনাহগার হবো?
উত্তর : উচিত হচ্ছে না। কারণ, টাকা পয়সা পাওয়া বা হারানোর অনিশ্চয়তাপূর্ণ কোনো খেলা ইসলাম পছন্দ করে না। এসবের দ্বারাই মানুষ নিজের অজান্তে জুয়ায় লিপ্ত হয়। সন্দেহযুক্ত বা হারাম উপার্জন থেকে দান করাও গোনাহের কাজ।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

চাদরে মোড়ানো নিরাপত্তায় ফিরোজায় পৌঁছালেন খালেদা জিয়া

অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা চায় না কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন

নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি কাল

পুলিৎজার পুরস্কার পেল রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট

ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও রাজশাহীর দুই সাবেক চেয়ারম্যানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরায় আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়

নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা

সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আলেমদের বিরুদ্ধে উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হুকুমের আসামি সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র

শ্যামল দত্তের জামিন প্রশ্নে রুল

সোনারগাঁওয়ে প্রাইভেটকার দিয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই

রূপগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি জমি দখলমুক্ত

বীর মুক্তিযোদ্ধা আর কে চৌধুরীর ৮৪তম জন্মদিন আজ

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে এরদোগানের সাথে কাজ করতে চান ট্রাম্প

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চললো মোটরসাইকেল

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

লামায় বালু নিলাম কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত

রোনালদোর ছেলে পর্তুগাল অ-১৫ দলে

ইরানি নারী উদ্ভাবক পেল ডব্লিউআইপিও পুরস্কার